প্রিয় শিক্ষার্থী, এ অঞ্জলি চলাকালীন শিক্ষক তোমাকে flash card-এর খেলা ও বিভিন্ন চমৎকার খেলার মধ্য দিয়ে ঈশ্বর ও তাঁর দেহ ধারণ, ঈশ্বরে বিশ্বাস ও তাঁর ইচ্ছা পালন সম্পর্কে ধারণা দিবেন। শৌলের মন পরিবর্তনের গল্প শুনে তুমিও সব সময় ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত হবে। তুমি নিজেকে রূপান্তর করে ভালো মানুষ হতে পারবে।
প্রিয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক এই সেশনটি একটি ছোট প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু করতে পারেন। তিনি তোমাকেও প্রার্থনায় নেতৃত্ব দিতে বলতে পারেন। তুমি আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারো।
এরপর তিনি তোমাদের পূর্ব থেকে জানা বিষয়ের ওপর নিচের প্রশ্নগুলো করতে পারেন। তুমি চাইলে আগে থেকে একটু চিন্তা করে রাখতে পারো।
প্রশ্নগুলো প্রথমে তোমরা চিন্তা করবে, এরপর উত্তরগুলো নিজ নিজ খাতায় লিখবে।
- আদিতে কোন কোন ভাববাদীর মধ্য দিয়ে ঈশ্বর তাঁর ইচ্ছা প্রকাশ করতেন?
- বিভিন্ন ভাববাদীর মধ্য দিয়ে ঈশ্বর কীভাবে তাঁর ইচ্ছা প্রকাশ করতেন? ।
- দীক্ষাগুরু যোহন কার আগমনের ঘোষণা দিয়েছিলেন?
- ঈশ্বর মানুষকে পাপ থেকে উদ্ধার করতে কাকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন?
- ঈশ্বরের বাক্য কী রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে এসেছিলেন?
তোমাদের লেখা শেষ হলে শিক্ষক তোমাদের উত্তরগুলো জিজ্ঞেস করবেন। তোমরা খুব মনোযোগ সহকারে কাজটি করবে কিন্তু।
এরপর নিচের শূন্যস্থানগুলো পূরণ করতে হবে। একটু চিন্তা করে রাখতে পারো।
আদিতে ___ছিলেন। ___ ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন এবং বাক্য নিজেই ___ ছিলেন।
এরপর শিক্ষক তোমাদের একটি মজার খেলা খেলতে বলতে পারেন। খেলাটি কার্ড দিয়ে খেলতে হতে পারে। শিক্ষকের দিক নির্দেশনা মনোযোগ সহকারে শোনো এবং আনন্দের সাথে সহপাঠী-বন্ধুদের সাথে খেলায় অংশগ্রহণ করো।
এ খেলাটি শিক্ষক তোমাদের বুঝিয়ে দিবেন। তোমাদের সবাইকে একটি করে একেক রঙের কার্ড দেওয়া হবে। এরপর তোমাদের একটি প্রশ্ন দিবেন। সে প্রশ্নের উত্তর তোমরা কার্ডে লিখবে।
যে প্রশ্নটির উত্তর কার্ডে লিখতে হবে সে প্রশ্নটি হলো, ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের বিশ্বাস কীভাবে তোমরা প্রকাশ করবে? কিছু সময় চিন্তা করে তোমরা এর উত্তরটি নিজ নিজ কার্ডে লিখবে। এ কাজটি করার জন্য ৫ মিনিট সময় পাবে। কার্ডের লেখা শেষ হলে শিক্ষক একে একে তোমাদের উত্তরটি উচ্চস্বরে পড়ে শোনাতে বলবেন এবং তোমার লেখা কার্ডটি টাঙানো পোস্টার পেপারে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে বলবেন। পোস্টারটি তৈরি করতে তুমি অনেক মজা পাবে। পোস্টারটির দেখতে কেমন হবে তার একটি নমুনা ডান দিকে দেখো।
তোমাদের ধারণাগুলো সুন্দরভাবে প্রকাশের জন্য শিক্ষক তোমাদের প্রশংসিত করবেন।
বাড়ির কাজ
বাড়িতে তোমাদের একটি কাজ করতে হতে পারে। তোমাদের ভাবতে হবে যে তোমরা কীভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস করো। তোমাদের নিশ্চয়ই নিজস্ব কিছু ভাবনা বা ধারণা আছে। তার পাশাপাশি তোমাদের বাড়ির কাজ হলো তোমাদের পিতা-মাতা/অভিভাবকের সাথে এই বিশ্বাসের বিষয়ে আলোচনা করে আসা।
শিক্ষককে ধন্যবাদের সাথে বিদায় সম্ভাষণ জানাও।
প্রিয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক এই সেশনটি একটি ছোট প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু করতে পারেন। তিনি তোমাকেও প্রার্থনায় নেতৃত্ব দিতে বলতে পারেন। তুমি আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারো। সামনের কোনো সেশনে তোমাদের কিন্তু একটি দেয়ালিকা তৈরি করতে হবে। ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের বিশ্বাস তোমরা কীভাবে প্রকাশ করো তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন যোহন ১ : ১-১৮; যোহন ১১ : ২৫-২৬; যোহন ২০ : ৩০-৩১; পদের আলোকে ঈশ্বরে বিশ্বাস ও তাঁর ইচ্ছা পালন বিষয়ে পবিত্র বাইবেলে কী রয়েছে তা তোমরা জানবে। তোমরা প্রত্যেকে ১টি বা ২টি করে পদ পাঠ করার সুযোগ পেতে পারো। তুমি চাইলে আগে থেকে এ পদগুলো বাড়িতে পাঠের অনুশীলন করতে পারো যাতে শ্রেণিকক্ষে নির্ভুলভাবে পাঠ করতে পারো।
ঈশ্বরের বাক্য মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন
প্রথমেই বাক্য ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন এবং বাক্য নিজেই ঈশ্বর ছিলেন। আর প্রথমেই তিনি ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন। সব কিছুই সেই বাক্যের দ্বারা সৃষ্ট হয়েছিল, আর যা কিছু সৃষ্ট হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে কোনো কিছুই তাঁকে ছাড়া সৃষ্ট হয়নি। তাঁর মধ্যে জীবন ছিল এবং সেই জীবনই ছিল মানুষের আলো। সেই আলো অন্ধকারের মধ্যে জ্বলছে কিন্তু অন্ধকার আলোকে জয় করতে পারেনি।
ঈশ্বর যোহন নামে একজন লোককে পাঠিয়েছিলেন। তিনি আলোর বিষয়ে সাক্ষী হিসাবে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন যেন সকলে তাঁর সাক্ষ্য শুনে বিশ্বাস করতে পারে। যোহন নিজে সেই আলো ছিলেন না কিন্তু সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন।
সেই আসল আলো, যিনি প্রত্যেক মানুষকে আলো দান করেন, তিনি জগতে আসছিলেন। তিনি জগতেই ছিলেন এবং জগৎ তাঁর দ্বারাই সৃষ্ট হয়েছিল, তবু জগতের মানুষ তাঁকে চিনল না। তিনি নিজের দেশে আসলেন, কিন্তু তাঁর নিজের লোকেরাই তাঁকে গ্রহণ করল না। তবে যতজন তাঁর উপর বিশ্বাস করে তাঁকে গ্রহণ করল তাদের প্রত্যেককে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দিলেন। এই লোকদের জন্ম রক্ত থেকে হয়নি, শারীরিক কামনা বা পুরুষের বাসনা থেকেও হয়নি, কিন্তু ঈশ্বর থেকেই হয়েছে।
সেই বাক্যই মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন এবং আমাদের মধ্যে বাস করলেন। পিতা ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র হিসেবে তাঁর যে মহিমা সেই মহিমা আমরা দেখেছি। তিনি দয়া ও সত্যে পূর্ণ।
যোহন তাঁর বিষয়ে জোর গলায় সাক্ষ্য দিয়ে বললেন, “উনিই সেই লোক যাঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম, যিনি আমার পরে আসছেন তিনি আমার চেয়ে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।”
আমরা সকলে তাঁর সেই পূর্ণতা থেকে দয়ার উপরে আরও দয়া পেয়েছি। মোশির মধ্য দিয়ে আইন-কানুন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে দয়া ও সত্য এসেছে। ঈশ্বরকে কেউ কখনো দেখেনি। তাঁর সঙ্গে থাকা সেই একমাত্র পুত্র, যিনি নিজেই ঈশ্বর, তিনিই তাঁকে প্রকাশ করেছেন। যোহন ১ : ১-১৮
যীশু মার্থাকে বললেন, “আমিই পুনরুত্থান ও জীবন। যে আমার উপর বিশ্বাস করে সে মরলেও জীবিত হবে। আর যে জীবিত আছে এবং আমার উপর বিশ্বাস করে সে কখনো মরবে না। তুমি কি এই কথা বিশ্বাস কর?” যোহন ১১ : ২৫-২৬
যীশু শিষ্যদের সামনে চিহ্ন হিসেবে আরও অনেক আশ্চর্য কাজ করেছিলেন; সেগুলো এই বইয়ে লেখা হয়নি। কিন্তু এইসব লেখা হলো যাতে তোমরা বিশ্বাস কর যে, যীশুই মশীহ, ঈশ্বরের পুত্র, আর বিশ্বাস করে যেন তাঁর মধ্য দিয়ে জীবন পাও । যোহন ২০: ৩০-৩১
তোমাকে একটু সহজ করে বলি
ঈশ্বর জগৎ সৃষ্টি করেছেন বাক্য দিয়ে অর্থাৎ তাঁর মুখের কথা দিয়েই তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। ঈশ্বর অন্ধকার পৃথিবীতে আলো সৃষ্টি করেছেন এবং সৃষ্ট সকল প্রাণী ও উদ্ভিদকে প্রাণ দিয়েছেন। বাপ্তিস্মদাতা যোহন প্রভুর পথ প্রস্তুত করেছিলেন। তিনি যীশুর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন।
পুত্র ঈশ্বর পিতা ঈশ্বরের কাছেই ছিলেন। কোনো কিছুই প্রভু যীশুখ্ৰীষ্টকে ছাড়া সৃষ্টি হয়নি। তিনি নিজেই ঈশ্বর। তিনি মানুষের রূপ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছেন। যীশু হচ্ছেন সকল মানুষের মুক্তিদাতা। কিন্তু পৃথিবীর মানুষ তাঁকে চিনতে পারেনি।
তিনি পাপময় পৃথিবীতে এসেও সত্যে ও আত্মায় পূর্ণ পবিত্র জীবন যাপন করেছেন। তিনি দয়া ও অনুগ্রহে পূর্ণ ছিলেন। যারাই তাঁকে বিশ্বাস করবেন তারা ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার লাভ করবেন।
একটি ধন্যবাদ ও প্রশংসামূলক গানের মধ্য দিয়ে বিদায় নাও।
শিক্ষকের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করো এবং প্রার্থনায় সহায়তা করো।
প্রিয় শিক্ষার্থী, আগামী সেশনে তোমরা সেই কাঙ্ক্ষিত দেয়াল পত্রিকাটি তৈরি করবে। তোমরা এ পর্যন্ত যা কিছু প্রস্তুত করেছ সব কটি সঙ্গে করে নিয়ে এসো কিন্তু। দেখো কোনো কিছু যেন ভুল করে বাড়িতে রেখে এসো না। এখনো যদি কোনো কিছু যোগ করতে চাও এই সুযোগে তাও করে নিতে পারো।
এখানে তোমরা একটি মজার কাজ করবে। কী করবে তা আমি তোমাদের বুঝিয়ে বলছি।
আদিতে বাক্য ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন, বাক্য ঈশ্বর ছিলেন, বাক্যের মধ্য দিয়ে পুত্র ঈশ্বরের জন্ম, যীশুই ঈশ্বর, যীশুতে মানুষের বিশ্বাস এই ধারাবাহিকতা একটি কার্ডে প্রবাহচিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে প্রকাশ করবে। তোমাদের সুবিধার্থে বলছি, তোমরা চাইলে প্রবাহ চিত্রে কোনো ছবি বা সংকেতও ব্যবহার করতে পারো। এ কাজটি করার জন্য তোমরা যোহন ১ : ১-১৮; অংশ পড়ে সহায়তা নিতে পারো।
তোমরা এ প্রবাহচিত্রটি কার্ডে অঙ্কন করবে। এরপর কার্ডটি শ্রেণিকক্ষে টাঙানো সুতায় পিন বা আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিবে। তোমরা একে অপরের কার্ডটি ঘুরে ঘুরে দেখার সুযোগ পাবে।
অর্পিত কাজ
“ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস ও অনন্ত জীবন লাভ” এ বিষয়ে দেয়ালিকা তৈরি করো।
সকল অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য কামনা করে বিদায় সম্ভাষণ জানাও।
সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক তোমাদের বসে চোখ বন্ধ করে এক মিনিট নীরব থেকে ধ্যানের মাধ্যমে ঈশ্বরের উপস্থিতি উপলব্ধি করতে বলবেন। তোমরা শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসারে কাজ করো কিন্তু। দেয়ালিকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন— কর্ক শিট/আর্ট কাগজ, আঠা, পোস্টার কাগজ, মার্কার, সাইন পেন, ইত্যাদি সম্ভব হলে সঙ্গে করে নিয়ে যেও। একান্ত নিতে না পারলে সমস্যা হবে না শিক্ষকও তোমাদের দিতে পারবেন।
শিক্ষক তোমাদের কয়েকটি দলে বিভক্ত করে দিবেন। তোমরা তোমাদের প্রত্যেকের সংগৃহীত ধারণাসমূহ, ছবি, বাইবেলের পদ, গল্প, কবিতা, সাক্ষ্য, ঘটনা, ছবি, ইত্যাদি যা কিছু রয়েছে সব কটি কীভাবে দেয়ালিকায় সাজাবে দলগতভাবে তার একটি পরিকল্পনা করবে। প্রয়োজনে শিক্ষকের কাছ থেকেও পরামর্শ নিতে পারবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তোমার দলের কাজ শেষ করবে। দেয়ালিকার কোন স্থানে তোমার দলের তথ্য উপস্থাপন করবে তা শিক্ষক নির্ধারণ করে দিতে পারেন। সেভাবেই দেয়ালিকাটি সম্পন্ন করবে।
তোমরা চাইলে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক তোমাদের তৈরি দেয়ালিকাটি উদ্বোধনও করাতে পারো। তবে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়ে রাখতে হবে। দেয়ালিকাটি অন্যান্য শ্রেণির খ্রীষ্টধর্মের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেখার সুযোগ করে দিতে পারো। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের ফিডব্যাক নেয়ার ব্যবস্থা রাখলে তোমরা পরবর্তী সময়ে আরও সুন্দরভাবে কাজটি করার নির্দেশনা পাবে।
তোমরা খুব মনোযোগ সহকারে কাজটি কোরো কিন্তু। দেখো তোমাদের সম্পাদিত অসাধারণ সৃষ্টিশীল কাজটির জন্য সকলের কাছে প্রশংসিত যেমন হবে তেমনি নিজেরাও খুব আনন্দ পাবে।
অর্পিত কাজ
খ্রীষ্টধর্ম সেশনে, গির্জায়/চার্চে, কোনো উপাসনা বা সেমিনারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রাপ্ত শিক্ষা, অনুভূতি, অনুপ্রেরণা ইত্যাদি ছবি, গল্প, অনুচ্ছেদ, ডায়েরিতে লিখে অথবা অন্য যে কোনো উপায়ে নিয়মিত সংরক্ষণ করবে। শিক্ষক হয়তো কিছুদিন পরপর কাজটি দেখতে পারেন। তিনি যদি নাও দেখেন তাও কোরো। দেখবে একসময় তোমার এ লেখাগুলো পড়ে তোমার নিজেরই ভালো লাগবে।
সমগ্র বিশ্বের শান্তি কামনায় প্রার্থনা করে শিক্ষক তোমাদের কাছ থেকে বিদায় নিবেন।
শিক্ষকের এবং সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করো।
এ সেশনে তুমি একটি মজার খেলায় অংশগ্রহণ করবে। খেলাটির নাম interactive play আর খেলাটি খেলার জন্য তোমার শিক্ষক ব্যবহার করবেন কয়েকটি ছবি ও বাইবেলের পদ। যেমন— দামেস্ক শহরের ছবি, একজন লোকের চোখে আলো এসে পড়ার সাথে সাথে লোকটি মাটিতে পড়ে গেল এরকম একটি ছবি, শিশুতোষ বাইবেল থেকে পৃষ্ঠা ২৪৫-এর ছবিটি। প্রতিটি ছবির সাথে একটি লম্বা সুতা লাগানো থাকবে। যার অন্য প্রান্তে একটি করে বিবরণী কাগজ লাগানো থাকবে। প্রতিটি ছবির জন্য বিবরণী কাগজে নির্ধারিত বিবরণটি লেখা শিক্ষক শ্রেণিকক্ষের বিভিন্ন জায়গা যেমন জানালা, কোনো খুঁটি বা পিলারের গায়ে সুতাটি লাগিয়ে দিবেন। তুমি ছবিগুলোর সুতা ধরে ধরে বিবরণী কাগজটির কাছে এগিয়ে যাও। তুমি নিশ্চয়ই ভাবছ বিবরণী কাগজে কী লেখা আছে। নিশ্চয়ই মজার কোনো বিষয় আছে।
বিবরণী কাগজটি এবার পড়ো।
- দামেস্ক শহরের ছবি
দামেস্ক লেখা
- একজন লোকের চোখে আলো এসে পড়ায় লোকটি মাটিতে পড়ে গেল এরকম একটি ছবি
আমি যীশু যার উপর তুমি অত্যাচার করছ।
- অননিয় শৌলের গায়ে হাত দিয়ে কথা বললেন
প্রভু যীশুই আমাকে পাঠিয়েছেন যেন তুমি তোমার দেখবার শক্তি পাও এবং পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হও।
তুমি যখন কাজটি করবে শিক্ষক হয়তো তোমার কাজটি তদারকি করবেন। তাতে তুমি ভয় পেয়ো না কিন্তু। খেলা শেষে তুমি তোমার আসনে বসবে। শিক্ষক তোমাকে হয়তো জিজ্ঞেস করবেন, “এসব বস্তু কার জীবনের কথা তোমাদের জানায়?” তুমি কিন্তু সঠিক উত্তর দিও। তোমার উত্তর হবে : “শৌল”।
বাড়ির কাজ
শিক্ষক তোমাকে একটি বাড়ির কাজ দিতে পারেন। বাড়িতে গিয়ে তোমার বাবা-মা/অভিভাবকের কাছ থেকে শৌলের মন পরিবর্তনের ঘটনাটি জেনে আসবে।
স্বতঃস্ফূর্তভাবে খেলাটিতে অংশগ্রহণ করে শিক্ষককে সহায়তা করো, দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে শিক্ষককে বিদায় জানাও।
শুভেচ্ছা বিনিময়ের পরে সমস্বরে প্রার্থনাপূর্ণ পরিবেশে নিম্নে উল্লিখিত গীতসংহিতা (সামসংগীত) : ১২৩ আবৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষক সেশনটি শুরু করবেন। তুমি সক্রিয়ভাবে অংশ নিও।
তুমি স্বর্গের সিংহাসনে আছ; আমি তোমার দিকেই চোখ তুলে তাকিয়ে থাকি।
মনিবের হাতের দিকে যেমন দাসদের চোখ থাকে
আর দাসীদের চোখ থাকে মনিবের স্ত্রীর হাতের দিকে,
তেমনি আমাদের চোখ থাকবে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে,
যতদিন না তিনি আমাদের দয়া করেন।
আমাদের উপর দয়া কর, হে সদাপ্রভু, আমাদের উপর দয়া কর,
কারণ লোকদের ঘৃণা আমাদের মাথার তালু পর্যন্ত
গিয়ে উঠেছে।
আরামে থাকা লোকদের বিদ্রুপ আর অহংকারীদের ঘৃণা
আমাদের তালু পর্যন্ত গিয়ে উঠেছে। গীতসংহিতা : ১২৩
একক কাজ
এ সেশনে শিক্ষক তোমাদের একটি একক কাজ দিতে পারেন। মন পরিবর্তনের পূর্বে শৌল কী কী করেছিলেন? এ প্রশ্নটির উত্তর তোমাকে চিন্তা করে খাতায় লিখতে হবে। চিন্তা করার জন্য তুমি সময় পাবে ৫ মিনিট। এরপরে খাতায় লিখবে। শিক্ষক তোমাদের উত্তরগুলো জিজ্ঞেস করবেন। তিনি হয়তো তোমাকে দিয়ে বোর্ডেও লেখাতে পারেন। তুমি উত্তরগুলো আগে থেকেই চিন্তা করে রেখো। বোর্ডে যেভাবে লিখতে হবে তার একটি নমুনা দেওয়া হলো। শিক্ষক নিচের প্রশ্নের আলোকে তোমাদের মুক্ত আলোচনা করতে বলতে পারেন।
প্রশ্নটি হলো :
দর্শন পাবার পরে শৌলের কী কী পরিবর্তন হলো?
শিক্ষক বলবেন, “সকল ধন্যবাদ, প্রশংসা ও মহিমা তোমারই, যুগে যুগে তোমার জয় হোক।” তোমরা সকলে “আমেন” বলে শেষ করবে।
সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, তোমরা সকলে মিলে ঈশ্বরের গুণগান করবে।
শৌলের মন পরিবর্তনের ঘটনাটি তোমরা তোমাদের পিতা-মাতা/অভিভাবকের কাছ থেকে জেনেছ। শৌল যীশুর দর্শন পাওয়ার পূর্বে কেমন ছিল এবং পরে তার কী কী পরিবর্তন হয়েছিল তাও তোমরা দেখেছ। এসো শিষ্যচরিত/প্রেরিত ৯ : ১-৩১-এর আলোকে পবিত্র বাইবেলে এ সম্পর্কে কী লেখা আছে তা দেখি। তুমি চাইলে এ পদগুলো বাড়িতে আগে থেকেই পাঠ করতে পারো।
শৌল যীশু-কে বিশ্বাস করল
এদিকে শৌল প্রভুর শিষ্যদের মেরে ফেলবেন বলে ভয় দেখাচ্ছিলেন। দামেস্ক শহরের সমাজ-ঘরগুলোতে দেবার জন্য তিনি মহাপুরোহিতের কাছে গিয়ে চিঠি চাইলেন। যত লোক যীশুর পথে চলে, তারা পুরুষ হোক বা স্ত্রীলোক হোক, তাদের পেলে যেন তাদের বেঁধে যিরূশালেমে আনতে পারেন সেই ক্ষমতার জন্যই তিনি সেই চিঠি চেয়েছিলেন। পথে যেতে যেতে যখন তিনি দামেস্কের কাছে আসলেন তখন স্বর্গ থেকে হঠাৎ তাঁর চারদিকে আলো পড়ল। তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন এবং শুনলেন কে যেন তাঁকে বলছেন, “শৌল, শৌল, কেন তুমি আমার উপর অত্যাচার করছ?”
শৌল জিজ্ঞাসা করলেন, “প্রভু, আপনি কে?”
তিনি বললেন, “আমি যীশু, যাঁর উপর তুমি অত্যাচার করছ। এখন তুমি উঠে শহরে যাও। কী করতে হবে তা তোমাকে বলা হবে।”
যে লোকেরা শৌলের সঙ্গে যাচ্ছিল তারা অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। তারা কথা শুনেছিল কিন্তু কাউকে দেখতে পায়নি। পরে শৌল মাটি থেকে উঠলেন, কিন্তু চোখ খুললে পর কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন তাঁর সঙ্গীরা হাত ধরে তাঁকে দামেস্কে নিয়ে গেল। তিন দিন পর্যন্ত শৌল চোখে দেখতে পেলেন না এবং কিছুই খেলেন না।
দামেস্ক শহরে অননিয় নামে একজন শিষ্য ছিলেন। প্রভু তাঁকে দর্শন দিয়ে বললেন, “অননিয়।”
উত্তরে তিনি বললেন, “প্রভু, এই যে আমি।”
প্রভু তাঁকে বললেন, “সোজা নামে যে রাস্তাটা আছে তুমি সেই রাস্তায় যাও। সেখানে যিহূদার বাড়ীতে শৌল বলে তার্য শহরের একজন লোকের খোঁজ কর। সে প্রার্থনা করছে এবং দর্শনে দেখেছে যে, অননিয় নামে একজন লোক এসে তার গায়ে হাত রেখেছে যেন সে আবার দেখতে পায়।”
অননিয় বললেন, “প্রভু, আমি অনেকের মুখে এই লোকের বিষয় শুনেছি যে, যিরূশালেমে তোমার লোকদের উপর সে কত অত্যাচার করেছে। এছাড়া যারা তোমার নামে প্রার্থনা করে তাদের ধরবার জন্য প্রধান পুরোহিতদের কাছ থেকে অধিকার নিয়ে সে এখানে এসেছে।”
কিন্তু প্রভু অননিয়কে বললেন, “তুমি যাও, কারণ অযিহূদীদের ও তাদের রাজাদের এবং ইস্রায়েলীয়দের কাছে আমার সম্বন্ধে প্রচার করবার জন্য আমি এই লোককেই বেছে নিয়েছি। আমার জন্য কত কষ্ট যে তাকে পেতে হবে তা আমি তাকে দেখাব।”
তখন অননিয় গিয়ে সেই বাড়ির মধ্যে ঢুকলেন আর শৌলের গায়ে হাত দিয়ে বললেন, “ভাই শৌল, এখানে আসবার পথে যিনি তোমাকে দেখা দিয়েছিলেন তিনি প্রভু যীশু। তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন যেন তুমি তোমার দেখবার শক্তি ফিরে পাও এবং পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হও।” তখনই শৌলের চোখ থেকে আঁশের মতো কিছু একটা পড়ে গেল এবং তিনি আবার দেখতে পেলেন। এর পরে তিনি উঠে জলে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন এবং খাওয়া-দাওয়া করে শক্তি ফিরে পেলেন। শিষ্যচরিত/প্রেরিত ৯ : ১-১৯
তোমাকে একটু সহজ করে বলছি
শৌল খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে ভয় প্রদর্শন করতেন। যেখানে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা থাকতেন সেখান থেকেই বেঁধে এনে যিরূশালেমে রাখতেন ও নির্যাতন করতেন। একদিন শৌল যখন দামেস্কের কাছে আসলেন তখন উপর থেকে আলোর মাধ্যমে যীশু তাকে দর্শন দিলেন এবং বললেন শৌল তুমি কেন আমাকে তাড়না করছো? শৌল অন্ধ হয়ে গেলেন ও ভূমিতে পড়ে গেলেন। এরপর অননিয় নামে একজন লোকের সাথে যীশু শৌলের পরিচয় করিয়ে দিলেন। অননিয় যখন শৌলের সাথে কথে বলছিলেন তখন শৌলের চোখ খুলে গেল এবং তিনি দেখতে পেলেন। পরে তিনি যীশুকে বিশ্বাস করে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন।
মন পরিবর্তনের পরে শৌল
শৌল দামেস্কের শিষ্যদের সঙ্গে কয়েক দিন রইলেন। তার পরে সময় নষ্ট না করে তিনি ভিন্ন ভিন্ন সমাজ-ঘরে এই কথা প্রচার করতে লাগলেন যে, যীশুই ঈশ্বরের পুত্র। যারা তাঁর কথা শুনত তারা আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করত, “যিরূশালেমে যারা যীশুর নামে প্রার্থনা করে তাদের যে অত্যাচার করত এ কি সেই লোক নয়? এখানেও যারা তা করে তাঁদের বেঁধে প্রধান পুরোহিতদের কাছে নিয়ে যাবার জন্যই কি সে এখানে আসেনি?” শৌল কিন্তু আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে লাগলেন এবং যীশুই যে মশীহ তা প্রমাণ করলেন। এতে দামেস্কের যিহূদীরা বুদ্ধিহারা হয়ে গেল।
এর অনেক দিন পরে যিহূদীরা তাঁকে মেরে ফেলবার ষড়যন্ত্র করতে লাগল, কিন্তু শৌল তাদের ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারলেন। তাঁকে মেরে ফেলবার জন্য যিহূদীরা শহরের ফটকগুলো দিনরাত পাহারা দিতে লাগল। কিন্তু একদিন রাতের বেলা শৌলের শিষ্যেরা একটা ঝুড়িতে করে দেয়ালের একটা জানলার মধ্য দিয়ে তাঁকে নিচে নামিয়ে দিল।
শৌল যিরূশালেমে এসে শিষ্যদের সঙ্গে যোগ দিতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু তারা সবাই তাঁকে ভয় করতে লাগল। তারা বিশ্বাস করতে পারল না যে, শৌল সত্যিই একজন শিষ্য হয়েছেন। কিন্তু বার্ণবা তাঁকে সঙ্গে করে প্রেরিতদের কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁদের জানালেন, দামেস্কের পথে শৌল কিভাবে প্রভু যীশুকে দেখতে পেয়েছিলেন এবং প্রভু তাঁর সঙ্গে কীভাবে কথা বলেছিলেন, আর দামেস্কে যীশুর সম্বন্ধে তিনি কীভাবে সাহসের সঙ্গে প্রচার করেছিলেন। এর পরে শৌল যিরূশালেমে শিষ্যদের সঙ্গে রইলেন এবং তাঁদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন ও প্রভুর বিষয়ে সাহসের সঙ্গে প্রচার করে বেড়াতেন। যে যিহূদীরা গ্রিক ভাষা বলত তাদের সঙ্গে তিনি কথা বলতেন ও তর্ক করতেন, কিন্তু এই যিহূদীরা তাঁকে মেরে ফেলবার চেষ্টা করতে লাগল। বিশ্বাসী ভাইয়েরা এই কথা শুনে তাঁকে কৈসরিয়া শহরে নিয়ে গেলেন এবং পরে তাঁকে তাষ শহরে পাঠিয়ে দিলেন।
সেই সময় যিহূদিয়া, গালীল ও শমরিয়া প্রদেশের মণ্ডলীগুলোতে শান্তি ছিল, আর সেই মণ্ডলীগুলো গড়ে উঠছিল। ফলে প্রভুর প্রতি ভক্তিতে ও পবিত্র আত্মার উৎসাহে তাদের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছিল। শিষ্যচরিত/প্রেরিত ৯ : ২০-৩১
তোমাকে একটু সহজ করে বলছি
শৌল যীশুকে জানার পর বিভিন্ন স্থানে যীশুর কথা প্রচার করতে থাকলেন। তাতে তাঁর উপর নির্যাতন বেড়ে গেল। শিষ্যরা শৌলকে উদ্ধার করে অন্য শহরে পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু শিষ্যদের মধ্য থেকে কয়েকজন শৌল যে যীশুকে বিশ্বাস করেন সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন। তাতে বার্ণবা শিষ্যদের বললেন যে, শৌল সত্যিকারেই যীশুকে বিশ্বাস করেন। এতে অন্যান্য শিষ্যরা শৌলকে বিশ্বাস করলেন। তারা সকলে একত্রে যীশুর কথা প্রচার করতে থাকলেন।
শিক্ষকের সাথে পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় করো। গীতসংহিতা/সামসংগীত ৯১ : ১-৪ পদ পাঠ করে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা হবে। তুমি আগে থেকেই বাড়িতে বসে অণুশীলন করে রাখতে পারো।
মহান ঈশ্বরের আশ্রয়ে যে বাস করে সে সর্বশক্তিমানের ছায়ায় থাকে।
সদাপ্রভুর সম্বন্ধে আমি এই কথা বলব,
“তিনিই আমার আশ্রয় ও আমার দুর্গ;
তিনিই আমার ঈশ্বর যাঁর উপরে আমি নির্ভর করি।”
তিনি তোমাকে শিকারীদের ফাঁদ থেকে
আর সর্বনাশা মড়কের হাত থেকে রক্ষা করবেন।
তাঁর পালখে তিনি তোমাকে ঢেকে রাখবেন,
তাঁর ডানার নিচে তুমি আশ্রয় পাবে;
তাঁর বিশ্বস্ততা তোমার ঢাল ও দেহ-রক্ষাকারী বর্ম হবে। গীতসংহিতা : ৯১
অভিনয় করব
এ সেশনে তোমরা ভূমিকাভিনয়ে অংশগ্রহণ করবে। কাজটি কীভাবে করবে তা শিক্ষক তোমাদের বুঝিয়ে বলবেন। শিক্ষক তোমাদের কয়েকটি দলে বিভক্ত করবেন। প্রতিটি দলে কী অভিনয় করতে হবে তা তিনি তোমাদের বলে দিবেন। প্রেরিত/শিষ্যচরিত ৯ : ১-১৯ পদ অবলম্বনে শৌলের মন পরিবর্তনের ঘটনাটি প্রতিটি দল অভিনয় করে দেখাবে।
সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, শৌলের মন পরিবর্তনের বিষয়ে তোমরা জেনেছ। আমরা এই জানার ভিত্তিতে আজকে একটি মজার কাজ করব। তোমরা দলগতভাবে প্রেরিত/শিষ্যচরিত ৯ : ১-১৯ পদ অবলম্বনে শৌলের মন পরিবর্তনের ঘটনাটি প্রতিটি দলে অভিনয় করে দেখাবে।
শিক্ষক তোমাদের কয়েকটি দলে বিভক্ত করবেন এবং দলগুলোর নামকরণ করবেন। প্রতিটি দলে একটি চিরকুটে অভিনয়ের বিষয়টি লিখে দিবেন। তোমরা নিজেদের মধ্যে ঠিক করে নিবে কে কোন চরিত্রে অভিনয় করবে। শিক্ষক চাইলে তিনি নিজেই চরিত্রগুলো বন্টন করে দিতে পারেন।
চরিত্র বন্টন করা হলে প্রতিটি দলে চরিত্র অনুযায়ী স্ক্রিপ্ট ভাগ করে নিতে হবে। অভিনয়ের পূর্বে তোমরা নিজেদের মধ্যে মহড়া দিয়ে নিও, যাতে সাবলীলভাবে অভিনয় করতে পারো।
তোমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে প্রশ্নসংবলিত একটি পোস্টার কাগজ শিক্ষক তোমাদের সামনে টাঙিয়ে দিতে পারেন। একেক দলের ভূমিকাভিনয় উপস্থাপন শেষ হলে অন্য দলগুলোর উদ্দেশ্যে প্রশ্নের মাধ্যমে তাদের অভিনয়ের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো জেনে নেয়া হবে। তোমরা প্রত্যেক দলের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো নোট করে রাখবে।
এবার প্রতিটি দলকে তাদের ভূমিকাভিনয় উপস্থাপনের জন্য একে একে আহ্বান করবেন। প্রতিটি দলের অভিনয় শেষে অন্য দলগুলোর উদ্দেশ্যে প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষক তাদের অভিনয়ের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো জেনে নিবেন। তোমরা সকলের অভিনয় উপভোগ করবে এবং মনোযোগ সহকারে দেখবে যেন প্রশ্নগুলোর উত্তর ঠিকঠাক দিতে পারো।
অভিনয় শেষে পোস্টার পেপারে টাঙানো প্রশ্নটির প্রতি আরেকবার লক্ষ করবে। প্রতিটি দলে নিজেদের মধ্যে এ প্রশ্নটি আলোচনা করে লিখবে। প্রতিটি দলের দলনেতা উপস্থাপন করবে।
প্রতিটি দলের উপস্থাপন শেষ হলে শিক্ষক এর সারাংশ তোমাদের বলবেন। দেখো আনন্দদায়ক একটি সেশন উপহার দেওয়ার জন্য শিক্ষক কত না তোমাদের প্রশংসা করবেন।
বাড়ির কাজ
ঈশ্বর যেমন দেহধারণ করে মানুষ হলেন, শৌল যেমন নিজেকে বদলে দিয়ে পৌল হলেন; নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে তাঁরা উভয়েই মানুষের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করলেন। তুমি কীভাবে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করতে পারো, সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছোটো ছোটো দুটি কাজ করে শ্রেণিকক্ষে উপস্থাপন করবে।
তোমার প্রিয় শিক্ষককে ধন্যবাদের সাথে বিদায় সম্ভাষণ জানাও।
সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় করো। তোমরা কীভাবে নিজের মন পরিবর্তন করেছ কিংবা পরিবর্তন করতে চাও শিক্ষক প্রত্যেককে চোখ বন্ধ করে সে বিষয়ে দুই মিনিট ধ্যান করতে বলবেন এবং প্রার্থনা করতে বলবেন যেন তুমি নিজেকে পরিবর্তন করার শক্তি পাও ।
জোড়ায়/দলগত কাজ
শিক্ষক তোমাদের জোড়ায় বা দলে বিভক্ত করবেন। তোমরা বাড়িতে যে কাজটি করেছ তা পোস্টার কাগজ ব্যবহার করে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত হবে। এজন্য তোমাদের সময় থাকবে দশ মিনিট।
তোমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে উপস্থাপনের জন্য একেক জোড়া বা দলকে শিক্ষক আহ্বান করবেন। তোমরা সক্রিয়ভাবে কাজটিতে অংশ নিও কিন্তু।
এ কাজটি সক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হলে শিক্ষক তোমাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এ মহৎ কাজটির জন্য প্রশংসিত করবেন। পরবর্তী সময়ে কোনো ভুল-ত্রুটি করলে তোমরা যেন মন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নিজেকে শুধরে নিতে পারো সে কামনা করে শিক্ষক বিদায় নিবেন।
আরও দেখুন...